তালির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রোমানো প্রোদি ঢাকায় এসেছিলেন ১৯৯৮ সালে। ওই সফর ছিল ইতালির কোনো প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ঢাকা সফর। দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি আগামী ডিসেম্বরের শেষ দিকে ঢাকায় আসতে পারেন। গত আগস্টে স্থগিত হওয়া সফরটি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে আয়োজনের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে আলোচনা হচ্ছে।
জানা গেছে জর্জিয়া মেলোনি এলে সফরটি বাংলাদেশে ইতালির দ্বিতীয় কোনো প্রধানমন্ত্রীর সফর হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, বড়দিনের পর জর্জিয়া মেলোনির সফরটি আয়োজন করা যায় কি না, তা নিয়ে প্রাথমিকভাবে দুই পক্ষের মধ্যে কথা হচ্ছে। তবে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। গত ৩০ আগস্ট জর্জিয়া মেলোনির পূর্বনির্ধারিত সফরটি একেবারে শেষ মুহূর্তে স্থগিত হয়ে যায়।
মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে উদ্ভূত জটিল পরিস্থিতিতে তাঁর বাংলাদেশসহ এশিয়ার পাঁচ দেশ সফর স্থগিত হয়ে যায়। ওই সময় বাংলাদেশ ছাড়াও সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান সফরের কথা ছিল ইতালির প্রধানমন্ত্রীর।
সব ঠিকঠাক থাকলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্র্বতী সরকারের আমলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো শীর্ষ নেতার এটাই প্রথম ঢাকা সফর হতে যাচ্ছে। জর্জিয়া মেলোনির সফরে নিরাপদ ও নিয়মতান্ত্রিক অভিবাসনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। পাশাপাশি বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষার বিষয়গুলো আলোচনায় গুরুত্ব পেতে পারে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ফাঁকে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে দুই দেশের একসঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতির কথা জানানো হয়েছিল গণমাধ্যমে। গত মে মাসে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাতেও পিয়ান্তেদোসির ঢাকা সফরের সময় উভয় পক্ষ ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। তখনই জর্জিয়া মেলোনির ঢাকা সফরের বিষয় নিশ্চিত করা হয়েছিল। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) একটি সম্মেলনে সম্প্রতি রোম সফর করেন।












